Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জুন ২০২৪

দর্শনীয় স্থান

মেহেরপুর  জেলাঃ-

ক্রঃ নং পর্যটন স্পটের নাম ও বিবরণ  কিভাবে যাবেন/যোগাযোগের ব্যবস্থা আবাসন ব্যবস্থা

ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরে সৃষ্টি এই ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে শপথ গ্রহণের স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স (Mujibnagar Complex Museum)।

স্মৃতি কমপ্লেক্সের আঙিনায় একটি বড় মানচিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর স্মারক ম্যূরাল, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক আম্রকানন এবং ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক উপস্থাপনকারী গোলাপ বাগান। মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের বাইরের অংশে ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃশ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিক্রমা জানতে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ স্থান দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন মেহেরপুরে।

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স যেতে হলে প্রথমে মেহেরপুর আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু কিংবা ফেরীতে পদ্মা নদী পার হয়ে মেহেরপুর যাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মেহেরপুর গমনকারী এস বি পরিবহন, জে আর , শ্যামলী এবং আর কে পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস রাজধানী ঢাকার কল্যানপুর থেকে ছেড়ে যায়।

আর ঢাকার গাবতলী থেকে ফেরী পার হয়ে যাতায়াত করে জে আর, রয়েল, এস এম, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাএক্সের বাস। মানভেদে এসব বাসের প্রতিটি সীটের টিকিটের ভাড়া ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

সড়ক পথে মেহেরপুর জেলা সদর থেকে বাস, স্থানীয় যানবাহনের (টেম্পু/নছিমন/করিমন) মাধ্যমে ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে।

কোথায় থাকবেন

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের একটি আবাসিক হোটেল চালু আছে। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ, পৌর হল এবং ফিন টাওয়ারসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন:
মেহেরপুরে খাবারের জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে অবশ্যই আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না। এছাড়া মেহেরপুর শহরে “সাবিত্রী” নামের মিষ্টির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন।

০২

আমঝুপি নীলকুঠি

মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত ইংরেজ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত আমঝুপি নীলকুঠি (Amjhupi Neelkuthi) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মেহেরপুর (Meherpur) জেলা থেকে আমঝুপি নীলকুঠির দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। ১৮০০ দশকে প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে এই ভবনটি নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে এখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিস চালু করা হয়।

কাজলা নদীর পাশে অবস্থিত নীলকুঠিতে প্রবেশের জন্য দুইটি রাস্তা আছে। ৭৭ একরের বেশী জায়গাজুড়ে অবস্থিত নীলকুঠি কমপ্লেক্সের মাঝখানে আছে ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট মূল ভবন। মূল ভবনের কক্ষগুলোর মধ্যে আছে খাবারের কক্ষ, হল রুম, অতিথিদের থাকার জায়গা এবং জলসা ঘর। আর ভবনের বাইরে রয়েছে চমৎকার বাগান ও উদ্যান। ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ সরকার আমঝুপি নীলকুঠি সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আমঝুপি নীলকুঠি যেতে হলে প্রথমে মেহেরপুর আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু কিংবা ফেরীতে পদ্মা নদী পার হয়ে মেহেরপুর যাওয়া যায়। রাজধানী ঢাকার কল্যানপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মেহেরপুর গমনকারী এস বি পরিবহন, জে আর, শ্যামলী এবং আর কে পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস ছেড়ে যায়।

এছাড়া ঢাকার গাবতলী থেকে ফেরী পার হয়ে যাতায়াত করে জে আর, রয়েল, এস এম, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাএক্সের বাস। মানভেদে এসব বাসের প্রতিটি সীটের টিকিটের ভাড়া ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে বাস কিংবা স্থানীয় যেকোন পরিবহণ ব্যবস্থায় সরাসরি আমঝুপি নীলকুঠিতে যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে।

কোথায় থাকবেন
রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ, পৌর হল এবং ফিন টাওয়ারসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া গাংনী উপজেলার পলাশীপড়া সমাজকল্যাণ সমিতির রেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

কোথায় খাবেন
মেহেরপুরে খাবারের জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে অবশ্যই আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না। এছাড়া মেহেরপুর শহরে “সাবিত্রী” নামের মিষ্টির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন।

০৩ 

ডিসি ইকোপার্ক/ভাটপাড়া নীলকুঠি, (সাহারবাটি,গাংনী,মেহেরপুর)

১৮৫৯ সালে স্থাপিত ধ্বংস প্রায় এই নীলকুঠিটি ইট, চুন-শুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরী। এই কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী।

 

 

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ১৭ কি: মি: । বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ৪০মি: সময়ে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়।

গাংনী পলাশীপড়া সমাজকল্যাণ সমিতির রেস্ট হাউজে আবাসন সুবিধা আছে। মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল, মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

০৪

আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন

মেহেরপুর জেলার অত্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন মেহেরপুর শহর থেকে ৪ কিঃমিঃপূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত আমদহ গ্রামের স্থাপত্য কীর্তি। প্রায় এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই প্রত্নস্থানের চারিদিকে ছিল পরীখা, কিন্তু পরিখার বেষ্টনীতে কোন প্রাচীর ছিলনা। এখন এই প্রত্নস্থানের কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এখানকার মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা একটি প্রত্নস্তম্ভ পুরাতন জেলা প্রশাসক ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে।

 

মেহেরপুর জেলা সদরে এটি অবস্থিত। বাস টার্মিনাল হতে রিক্সা/ভানে পৌঁছানো যায় মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটায়ার আবাসিক হোটেল,মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
০৫

পৌর ঈদগাহ

মেহেরপুর পৌরসভার নিজস্ব জমিতে ৫৮,০০,০০০/- টাকা ব্যয়ে একটি সুদৃশ্য ঈদগাহ নির্মাণ করছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে পানির ফোয়ারা ও সুশোভিত ফুলের বাগান এক মনোরোম দৃশ্যের অবতারণা করেছে। নানা রঙের আলোকসজ্জার মাধ্যমে পানির ফোয়ারাকে এক অপরূপ রূপ দান করা হয়েছে। মেহেরপুরের প্রধান ঈদের জামাত এ ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। সৌন্দর্য্যের দিক বিবেচনায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহ একটি আকর্ষীণ পর্যটন স্পট।

মেহেরপুর জেলা সদরে এটি অবস্থিত। মেহেরপুর বাসটার্মিনাল থেকে রিক্সা/ভানে পৌছানো যায়।  মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল, মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
০৬

ভবের পাড়া, মুজিবনগর, মেহেরপুর।

বল্লভপুর চার্চ, ভবের পাড়া, মুজিবনগর, মেহেরপুর।

মেহেরপুর সদর বাসস্ট্যান্ড হতে বাসযোগে মুজিবনগর। এরপর রিকশা বা অটোরিকশাযোগে যাওয়া যায়।  
০৭

ভবানন্দপুর মন্দির

 মেহেরপুর জেলার প্রত্ন নিদর্শনগুলোর অন্যমত সদর থানার ভবানন্দপুর গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দিরটি। মন্দিরটির স্থাপত্য শৈলী দেখে অনেকে এটিকে বৌদ্ধ মন্দির হিসেবে অনুমান করে থাকেন। কিন্তু এটি হিন্দু মন্দির।
 

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ১০ কি: মি:। স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ২০ মি: সময়ে ভবানন্দপুর পৌঁছানো যায়। মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল,মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
০৮

মেহেরপুর পৌর কবর স্থান

বহু বছর পূর্ব থেকে মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত হয় পৌর গোরস্থান। পূর্বে পৌর গোরস্থান অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। উক্ত প্রাচীর কালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেলে ১৯৯৩ সালে পৌর মেয়র, জনাব মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ মতু পৌর মেয়রের আসন অলংকৃত করার পর পৌর পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় সুদর্শন প্রাচীর নির্মাণসহ প্রাচীরের গায়ে টাইলস্ ও পাথরের উপর আরবী এবং বাংলা কোরআন, হাদীসের বাণী লিখেন। এছাড়া এ কবরস্থানের সমস্ত জায়গায় ফুলের বাগান দ্বারা সজ্জিতকরণসহ কবর স্থানের মধ্যে ওজুখানা ও মসজিদ নির্মাণ করেন।

মেহেরপুর জেলা সদরে এটি অবস্থিত। মেহেরপুর বাসটার্মিনাল থেকে রিক্সা/ভানে পৌছানো যায়।  মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল,মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
০৯

মেহেরপুর পৌর হল

মেহেরপুর পৌর শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে এবং অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে মেহেরপুর হল। আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের ছোঁয়ায় নির্মিত সুদৃশ্য অট্টালিকা।প্রথম তলাতে (গ্রাউন্ড ফ্লোর) নির্মাণ করা হয়েছে কমিউনিটি সেন্টার। বিয়ে জন্মদিন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য এটি একটি অন্যতম স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে। তাছাড়া সভা-সমাবেশ ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি সেন্টারটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১০০০ জন।

মেহেরপুর জেলা সদরে এটি অবস্থিত। বাস টার্মিনাল হতে রিক্সা/ভানে পৌঁছানো যায়। মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল,মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
১০

মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ

১৯৭১ সালে যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যাঁরা পাকিস্থানি সৈনিদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে মেহেরপুর পৌর কবরস্থানের পাশে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে মাল্যদান করে তাঁদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হয়ে থাকে।

মেহেরপুর জেলা সদরে এটি অবস্থিত। বাস টার্মিনাল হতে রিক্সা/ভানে পৌঁছানো যায় মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজ, পৌর হল, ফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেল, মিতা আবাসিক হোটেল, কামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।